1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

স্বামী ও সন্তানকে ভুলে ভ্যালেন্টাইন্স দিবসে নতুন ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে নতুন জীবন শুরু গৃহবধূর

আত্রেয়ী সেন | মলয় দে

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২, ০৬:০১ পিএম

স্বামী ও সন্তানকে ভুলে ভ্যালেন্টাইন্স দিবসে নতুন ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে নতুন জীবন শুরু গৃহবধূর
স্বামী ও সন্তানকে ভুলে ভ্যালেন্টাইন্স দিবসে নতুন ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে নতুন জীবন শুরু গৃহবধূর / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ফেব্রুয়ারি মাস মানেই ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে আবেগে ভাসা। এই ফেব্রুয়ারি মাসে ৭ তারিখ থেকে শুরু করে ১৪ তারিখ পর্যন্ত গোটা সপ্তাহ ধরে চলে ভালোবাসার উদযাপন। রোজ ডে, প্রমিস ডে ,টেডি ডে ,প্রপোজ ডে, কিস ডে, হাগ ডে  আর অবশ্যই ভ্যালেন্টাইন ডে। 
এদিকে, আজ প্রেম দিবসের দিনেই ৬ বছর আগে ভালবাসা দিয়ে শুরু হওয়া সম্পর্ক যা পরে বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়, সেই স্বামী এবং সন্তাঙ্কে ভুলে নতুন জীবনের পথে পা বাড়ালেন গৃহবধূ। 

দুই বোনের বিয়ে হয়েছিল একই পরিবারে দুই ভাইয়ের সঙ্গে শান্তিপুর থানা এলাকায়। এক বোন বেশ সুখেই ঘর করছিলেন। কিন্তু অন্য বোন ভালোবেসে বিয়ে করলেও, বিয়ের পরই পাল্টে যেতে শুরু করেন। ওই গৃহবধূর স্বামী এবং সেদিনে ভালোবাসার মানুষটাকে রোজগারের জন্য বাইরে মুম্বইতে যেতে হয়েছিল। স্বামীর না থাকাই সম্পর্কের মধ্যে ক্রমশ দুরত্ব আরও বাড়াল। 

স্বামীর অবর্তমানে ওই বধূ প্রায়ই বাপের বাড়ি চলে যেতেন। পরে ওই গৃহবধূর স্বামী বাড়ি ফিরলে লক্ষ্য করতেন যে, স্ত্রী প্রায়ই ফোনে ব্যস্ত থাকেন। ফোনে নানা ম্যাসেজও আসত। কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানতে পারেন, দক্ষিণ 24 পরগনা কুলটি থানার অন্তর্গত এক যুবকের সাথে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগের পরই, তাঁর স্ত্রী ওই যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। 

এই বিষয়ে বাধা দিলে, বাপের বাড়ি বা শ্বশুরবাড়ির কেউ প্রতিবাদ করলে, গৃহবধূ আত্মহত্যার হুমকি দিতেন বলেও অভিযোগ। সেই কারণেই কেউ তাকে কিছু বলতেও পারতেন না এ ব্যাপারে। এদিকে, আজ সকালে ওই যুবকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন গৃহবধূ। সে কঠা জানতে পেরেও যায় তাঁর পরিবার।  

এরপরই শান্তিপুর রেলওয়ে স্টেশনে ওই বধূর স্বামী, পরিবার এবং এলাকার লোকেরা তাঁদের পথ আটকায়। স্বামী দাবি করেন, সবার আগে পাকাপোক্তভাবে লিখিত করে, এবং সন্তানের অধিকার হারিয়ে তবেই যাওয়া সম্ভব হবে। এ ব্যাপারে অবশ্য ট্রেন যাত্রী, পথচলতি সাধারণ মানুষ অনেকেই ওই গৃহবধূর স্বামীকে সাহায্য করে। ভিড় এবং সাধারণ মানুষের জমায়েতের ভয়ে ওই গৃহবধূ তাই লিখে দেন। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ার  সেই বন্ধুর হাত ধরে তিনি রওনা হন নতুন ভালবাসার ঘর বাঁধতে।

আরও পড়ুন